দেশের বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ জানাতে হটলাইন চালু করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘আগামী জুলাই মাসের মধ্যে হটলাইন চালু করা হবে। এতে যাত্রীরা ২৪ ঘণ্টা মতামত বা অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাবেন।’ রবিবার (২৫ জুন) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণশুনানিতে  এ কথা বলেন তিনি।

হট লাইন প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেকোনও যাত্রী বা ব্যক্তি যেকোনও জায়গা থেকে বিমানবন্দরের সেবা নিয়ে অভিযোগ বা মতামত জানাতে পারবেন। যে ধরনের অভিযোগই আসুক না কেন, তা সমাধান করা হবে। জুলাই নাগাদ এই হটলাইন সেবা চালু হবে। দিনে ও রাতে ২৪ ঘণ্টা এই হটলাইনে যাত্রীরা যেকোনও অভিযোগ ও বিমানবন্দরের সেবা নিয়ে মতামত জানাতে পারবেন। এই সেবার জন্য জনবল নির্ধারণ করা হয়েছে। সেবা দিতে কোনও কমতি রাখা হবে না।’

এ বিষয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানবন্দরে ২৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। যাত্রীরা সাধারণত কোনও সমস্যায় পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন। হটলাইন চালু হলে যাত্রীদের ফোন নম্বরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি টিকিট তৈরি হবে। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ওই অভিযোগের টিকিট দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন করা হবে। সবার জবাবদিহি নিশ্চিত করাই আমাদের উদ্দেশ্য।’

এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘বিমানবন্দরে আমার বড় কনসার্ন ছিল— যেন যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা বিমানবন্দরের সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রশিক্ষণের বাইরেও তাদের সঙ্গে বসছে, আলোচনা করছে।’

‘লেফট বিহাইন্ড লাগেজ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এয়ারলাইন্সগুলো ন্যারো বডির এয়ারক্রাফটে (ছোট এয়ারক্রাফট) যাত্রী ভর্তি করে দেশে নিয়ে আসে। তখন সব লাগেজ আনতে পারে না। আমরা এরইমধ্যে এয়ারলাইন্সগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি। এছাড়া যারা ন্যারো বডির এয়ারক্রাফট নিয়ে দেশে আসে, তাদের কিছু সিট ফাঁকা রেখে আসতে বলেছি।’

গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বিদেশফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে হয়রানি করছে— এমন প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিস্টেম কাজ করছে বলেই এই ঘটনা দুটি জানা গেছে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, সে যে পর্যায়ের কর্মকর্তাই হোক না কেন। সবার ওপরে নজর আছে। ওই দুই জনের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

গণশুনানির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মো. মাহবুব আলম তালুকদার, সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী, প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক প্রমুখ।