১। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের প্রধান ও বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যা রাজধানী ঢাকার উত্তরাঞ্চল শহরের কেন্দ্র হতে ১৭ কিঃ মিঃ দূরে কুর্মিটোলায় অবস্থিত। বিমানবন্দরটির আয়তন ৮০২ হেক্টর (১,৯৮১ একর)। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAAB) বিমানবন্দরটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।
২। এটি ১৯৮০ সালে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশের অন্যতম সম্মানিত সুফি সাধক শাহ জালালের সম্মানে নামকরণের আগে বিমানবন্দরটি 'ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর' নামে পরিচিত ছিল। বিমানবন্দর এর IATA কোড "DAC" নেয়া হয়েছে "Dacca" থেকে যা "Dhaka" এর পূর্বে ব্যবহৃত বানান।
৩। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলো জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান অপারেশনাল কেন্দ্রস্থল। এছাড়াও, এটি এয়ার অ্যাস্ট্রা, নভোএয়ার এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সহ বাংলাদেশের বেশিরভাগ বেসরকারী বিমান সংস্থাগুলির অপারেশনাল কেন্দ্রস্থল। বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা প্রায় ১৮.৫ মিলিয়ন, এবং এই যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ২০২৬ সাল পর্যন্ত যথেষ্ট হবে বলে CAAB দ্বারা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে, বিমানবন্দরটি ৯.১ মিলিয়ন যাত্রী এবং ২৪৮,০০০ টন কার্গো অপারেশন করেছে। বর্তমানে হশাআবিতে প্রতিদিন প্রায় ১৯০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়। বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং দ্বারা সরবরাহ করা হয়, যা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী সংস্থা।
৪। বিমানবন্দরে সকল স্থানে সম্পূর্ণ ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট কাভারেজ রয়েছে এবং বিমানবন্দরের সকল টার্মিনালের একাধিক ফার্স্ট ক্লাস এবং বিজনেস ক্লাস এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ রয়েছে যা ফাইভ স্টার হোটেল দ্বারা পরিচালিত হয়, যেমন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা; বাংলাদেশী কোম্পানি যেমন ইস্টার্ন ব্যাংক স্কাইলাউঞ্জ বা সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস লাউঞ্জ; পাশাপাশি স্থানীয় এবং বিদেশী এয়ারলাইনস। ফার্স্ট ক্লাস বা বিজনেস ক্লাস এয়ার টিকিটে ভ্রমণকারী সম্মানিত যাত্রীগনের পাশাপাশি ইকোনমি ক্লাস এর যাত্রীগন অগ্রাধিকার পাস কার্ড এর ভিত্তিতে বিনামূল্যে লাউঞ্জে প্রবেশাধিকার এবং পরিষেবা গ্রহন করার সুবিধা রয়েছে। , তাদের বাছাই করা লাউঞ্জে বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার রয়েছে।