টার্মিনাল-১, টার্মিনাল-২ এবং অভ্যন্তরীণ টার্মিনালঃ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রধানত তিনটি টার্মিনাল নিয়ে গঠিত। টার্মিনাল-১, টার্মিনাল-২, অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল। টার্মিনাল-১ এবং টার্মিনাল-২ উভয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে যা একই ভবনের মধ্যে অবস্থিত। সম্মানিত আগমনী যাত্রীগন আগমনের সময় প্রথমে আগমনী ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিচ তলায় আন্তর্জাতিক আগমনী কনকোর্স হলের ক্যানপী-১ এবং ক্যানপী-২ এর মাধ্যমে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বহির্গামী যাত্রীগন ২য় তলায় আন্তর্জাতিক বহির্গমন কনকোর্স হলে প্রবেশ করে চেক-ইন সম্পন্ন করেন, এবং বহির্গমন ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিমানে উঠার জন্য এগিয়ে যান। আন্তর্জাতিক টার্মিনালের বাম দিকে অভ্যন্তরীন টার্মিনাল অবস্থিত যেখানে অভ্যন্তরীন রুটের ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়। অভ্যন্তরীণ আগমন এবং বহির্গমন কনকোর্স হল একই তলায় (গ্রাউন্ড ফ্লোর) অবস্থিত।
টার্মিনাল-৩ঃ
আন্তর্জাতিক টার্মিনাল-৩ এর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সীমিত পরিসরে অপারেশন শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলির লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিরসণ করা, অপারেশনাল কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং সম্মানিত যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ভ্রমন অভিজ্ঞতার জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা।
ভিআইপি টার্মিনাল:
সম্মানিত ভিআইপি যাত্রীদের বিশেষ পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভ্রমণ ছাড়াও, একটি ভিআইপি টার্মিনাল ভবন রয়েছে। ভিআইপি টার্মিনালটি প্রধান ফটক থেকে প্রায় ২০০ মিটার (২২০ গজ) দূরে টার্মিনাল-২ এর ডান পাশে অবস্থিত।
কার্গো টার্মিনাল:
আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ছাড়াও বার্ষিক ২,০০,০০০ টন ধারন ক্ষমতার একটি কার্গো টার্মিনাল রয়েছে। চলমান সংস্কার ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের সমাপ্তির পরে, কার্গো টার্মিনালের বার্ষিক ধারণ ক্ষমতা ৫,০০,০০০ টনে উন্নীত করা হবে।