গত ৫ আগস্ট সৌদি প্রবাসী জামাল খন্দকারের সৌদিয়া এয়ারলাইন্সে ছিল ফিরতি ফ্লাইট। টিকিট আগেই কেটে রেখেছিলেন তিনি। তবে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক আছে কি না তা জানতে আগেরদিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কল সেন্টারে যোগাযোগ করেন। কল সেন্টারের প্রতিনিধি তাকে জানান, নির্ধারিত সময়েই তার ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৌদি আরবের জেদ্দায় যাবে। এজন্য ফ্লাইট ছাড়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে যেন তিনি বিমানবন্দরে ঢোকেন।


এভাবেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কল সেন্টার থেকে যাত্রীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ২৭ জুলাই কল সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। এখন দেশের যে কেউ কল সেন্টারে (০৯৬১৪-০১৩৬০০) যোগাযোগ করে সেবা নিতে পারছেন। এছাড়া যাত্রীসেবা বাড়াতে একই দিন একটি ওয়েব পোর্টাল www.hsia.gov.bd ও কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের (customer relation management) চালু করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।


এর মাধ্যমে বিমানবন্দর-সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের উত্তর, কাস্টমস ডিউটি অফিসারদের নামের তালিকা, ইমিগ্রেশন পুলিশের সেবা, নিরাপত্তা সেবা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার তথ্য, হুইলচেয়ার সেবা, ব্যাংকিং ও মানি এক্সচেঞ্জ সেবা, জরুরি প্রয়োজনে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত সব কর্মকর্তার ফোন নম্বর, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেবা, কোন উড়োজাহাজ সংস্থার কোন বিমান কখন ছেড়ে যাবে, কখন এসে পৌঁছাবে তা ঘরে বসেই জানতে পারছেন যাত্রীরা।


জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে কল সেন্টার, ওয়েব পোর্টাল এবং কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার চালু করেছি। এখন প্রতিদিনই কল সেন্টারে কল দিচ্ছেন যাত্রীরা।

তিনি জানান, তাদের এ কল সেন্টার ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকে। বিমানবন্দর সেবা সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার অভিযোগ নেন তারা। পরে সেই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং দপ্তরে পৌঁছে দেন। একই সঙ্গে সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের তাগাদা দেন। এখন কল সেন্টারসহ অন্য সেবার বিষয়টি যত প্রচার হবে, যাত্রীরা তত উপকৃত হবেন।


যাত্রীসেবার মান নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ওয়েবসাইট www.hsia.gov.bd চালু করেছে। যা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে যাত্রীরা ফ্লাইটের সময়সূচি থেকে শুরু করে চেক-ইন পদ্ধতিসহ যাবতীয় তথ্যাদি পাবেন। ওই ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, ওয়েবসাইটটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় করা। ফলে সারাবিশ্বের যাত্রীরা ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে বিদেশে গমন এবং বিদেশ থেকে আগমনের সব নিয়মসহ বিমানবন্দরের বিভিন্ন সেবা, দিক নির্দেশনা, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের তথ্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন।